অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ: তারেক রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৬-১১-২০২৪ ০৮:০৩:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৬-১১-২০২৪ ০৮:০৩:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ, এই সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলনের ফসল। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হবো।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, এই সরকারকে ব্যর্থ করতে স্বৈরাচারের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনগণের চাওয়া বুঝতে পারলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। তবে এই সরকার কিছু কিছু বিষয় চাপিয়ে দিতে চাইছে— এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পালানোর পর একটি বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মাফিয়া সরকারের তৈরি করা জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব না। আবার তিন মাস পরে সরকারের সফলতা/ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক বা অন্যায্যও নয়। তবে সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা দেখতে পেলে জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি আগেও বলেছি, সংস্কার কাজ করতে গিয়ে অগ্রাধিকারের সেটিংস যদি ভুল হয় তাহলে জনগণের কাছে সরকারের অদক্ষতা হিসেবেই সেটা বিবেচিত হবে। দু'দিন আগে আহতরা হাসপাতাল থেকে যেভাবে বের হয়ে এসেছেন সেটা আমাদের বিবেকবান প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই লজ্জাস্কর বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন অগ্রাধিকার লিস্টে নেই, থাকলেও কত নম্বরে ছিল?
তারেক রহমান বলেন, আমরা দেখেছি অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণ আশা করছে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ পরিবেশে ভোট দিতে সক্ষম হবে। জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। জনগণ যখন সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারবে তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে তখন জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা দৃঢ় হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা মানুষের হাতে না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হবে না। ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা পেলে এই সরকারের সাথে জনগণের সম্পর্ক জোরালো হবে। রাজনীতি রুগ্ন হলে দেশের অর্থনীতিও রুগ্ন হতে বাধ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গার্মেন্টস সেক্টর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের উদ্যোগেই গার্মেন্ট সেক্টরে আন্তর্জাতিকভাবে রফতানি শুরু হয়েছে। বিশ্ব বাজারে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে ষড়যন্ত্র, টাকা পাচারসহ নানা অনিয়মের কারণে এই সেক্টরেও সমস্যা চলছে। এই খাতকে আরও লাভজনক করতে দলটির সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কর্মসূচি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উন্নয়নে ঐতিহাসিক সনদ বলে আমরা মনে করি। ঘোষিত এই ৩১ দফা বাস্তবায়নে মানসম্পন্ন ও প্রায়োগিক শিক্ষার ওপরও কিন্তু জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি জনসংখ্যা কোনো অভিশাপ নয় বরং এই জনসংখ্যাকে যদি মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায় তাহলে দেশের উন্নয়নে এটাই বড় শক্তি।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স